Thursday, October 24, 2019

"আল্ট্রাস : বিপক্ষের ত্রাস" - All you need to know about Ultras

East Bengal Ultras / Bangal Brigade in action

Ultras / আল্ট্রাস


আল্ট্রাস মানেই হলো চরমপন্থী এবং passionate supporter. সংস্কৃতিটার উৎপত্তি কোথায় হয়েছে সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, এটুকু বলা যায় ৬০এর দশকে ইতালিতে কালচারটি খুব পপুলার হয় এবং সেখান থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়াতে থাকে। আল্ট্রাসরা organised হয় এবং তাদের কাছে pride, passion এবং loyalty খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, Ultras is also about territorial defence and the mentality. তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নিজের ক্লাব, নিজের শহর, ক্লাবের রং এবং ক্লাবের ইতিহাসকে তুলে ধরা। একটা কথা মনে রাখতে হবে 'Ultras' আর 'Hooligans' কিন্তু কখনোই এক নয়। লাতিন আমেরিকাতে এই কালচারটাকে 'Barra Bravas' এবং ব্রাজিলে 'Torcida' বলা হয়।

East Bengal Ultras / ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাস


ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম আল্ট্রাস হলো ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাস। ২০১৩তে গ্রুপটি স্থাপিত হয়। তাদের প্রথম ব্যানার দেখা যায় ডিসেম্বর ২০১৩, ব্যাঙ্গালুরুতে - ইস্টবেঙ্গল বনাম বিএফসি ম্যাচে। তাদের প্রথম টিফো ছিল এক বিশাল দৈত্যকায় ১২ নম্বরের ইস্টবেঙ্গল জার্সি যেটা কলকাতা ময়দানে সাড়া ফেলে দেয়।

Bangal Brigade / বাঙাল ব্রিগেড


ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাসের অপর নাম হলো "বাঙাল ব্রিগেড"। এখানে ঘটি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা প্রশ্ন করতেই পারে - "তাহলে আমরা কি আল্ট্রাস মুভমেন্টের সাথে যুক্ত পারি না?" তাদের উদ্দেশ্যে জানানো - এখানে বাঙাল শব্দটি জাতি হিসেবে ধরা হয়নি, it's a statement. বাঙাল মানেই অদম্য জেদ, নাছোড়বান্দা মনোবল। বাঙাল মানেই মাইরা ফেলুম, কাইট্যা ফেলুম। বাঙাল মানেই undying spirit and uncompromising attitude. তাই এখানে বাঙাল বলতে পূর্ব বঙ্গের-ই হতে হবে তেমন কোনো কথা নেই - স্পিরিটটা থাকলেই যথেষ্ট!

Jersey Tifo in 2016 Kolkata Derby

Tifo / টিফো 


Tifo এসেছে ইতালিয়ান শব্দ Tifosi থেকে। Tifosi মানে যারা Typhus দ্বারা আক্রান্ত। বিশ্বযুদ্ধের পরে ইতালিতে অনেকেই Typhusএ আক্রান্ত হয়। এর সিম্পটম গুলো দেখা যেতো ইমোশনাল outbursts থেকে। লোকেরা সেই outburstsগুলো কেই রিলেট করলো খেলার মাঠের উদ্দীপনার সাথে।

Google বলছে tifo মানে - a choreographed display in which fans in a sports stadium raise a 'large banner' together or simultaneously hold up signs that together form a large image.
In short, Tifo = Huge Banners / Mosaics / Choreography.

সাধারণতঃ tifo একটা গ্যালারি জুড়ে থাকে। এবার যেহেতু YBK বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম গুলোর মধ্যে পরে, তাই ওখানে tifo গোটা গ্যালারি জুড়ে করা কঠিন। তাও একটা tifoর মতো সাইজের হওয়া উচিত। অপর দিকে ময়দানের যে কোনো মাঠে বা বারাসাত/হাওড়া/কল্যাণী স্টেডিয়ামে ছোট tifo করলেও সহজে ধরে যায় একটা গ্যালারিতে।

3D Tifo / থ্রি ডি টিফো 


টিফো হতে পারে 2D বা 3D. 3D হলো যেগুলো রড এবং পুলি-র সাহায্যে সিধা সিধি ভাবে দাঁড় করানো থাকে গ্যালারিতে। Tifo-র সাথে পিছনে মোসাইক বা পাইরো শো বা অন্য কোনো কোরিওগ্রাফি চলতে থাকে।
3D Tifo and mosaic on display at Kalyani Stadium by Ultras

Mosaic / মোসাইক


ছোট ছোট কাপড় বা পেপারের সাহায্যে কোনো বার্তাকে ফুটিয়ে তোলাকে বলা হয় মোসাইক। অনেকসময় এই মোসাইক / ফ্ল্যাগ / টু পোল ব্যাবহার করে টিফো তৈরি করা হয়। তবে খুবই দক্ষতা ও যত্নের সাথে মোসাইক করতে হয়। এদিক ওদিক হয়ে গেলে ডিজাইনটি নষ্ট হয়ে যায়, ফলে বিষয়বস্তু ঠিকমতো ফুটে উঠতে পারেনা।

Two Pole Flags / টু পোল ফ্ল্যাগস


Two pole হলো এক বিশেষ ধরনের ফ্ল্যাগ যেখানে দুটি পোল বা লম্বা দন্ডের মাঝখানে থাকে একটা কাপড়। যে কাপড়ে থাকে ক্লাবের / আল্ট্রাসের লোগো বা সমর্থকদের প্রিয় প্লেয়ার / ক্লাব লেজেন্ড-এর ছবি বা কোনো ট্যাগলাইন (যেমন 'No Selfie Zone', 'No Pyro No Party)।

Giant Flags / জায়ান্ট ফ্ল্যাগস


Curva তে অনেক সময় কিছু বিশাল বড় বড় ফ্ল্যাগ উড়তে দেখা যায়। তার উপরে কখনো ক্লাবের লোগো ডিজাইন করা হয়, আবার অনেকসময় ক্লাবের কোন প্রতিষ্ঠাতার ছবি, বা সমর্থকদের প্রিয় প্লেয়ার এর ছবি বা তার জার্সি নাম্বার ডিজাইন করা হয়। পুরো ৯০ মিনিট সেই বিশালাকৃতি ফ্ল্যাগ ওড়ানো হয়।

Pre-match corteo to the East Bengal Ground

Corteo / কোর্তেও


কোর্তেও মানে মিছিল / Procession / Rally. খেলা শুরুর কিছু ঘন্টা আগে স্টেডিয়ামের আসে পাশে কোনো জায়গায় জমায়েত শুরু হয় সমর্থকদের। সেখান থেকেই মিছিল শুরু হয় স্টেডিয়ামের দিকে। কোর্তেওর মূল উদ্দেশ্য হলো - সকলকে জানান দেওয়া যে আল্ট্রাস এসে গেছে দলের জন্য গলা ফাটাতে! এছাড়াও কোর্তেওর ফলে ওই অঞ্চলের লোকেদের মধ্যে awareness আসে ফুটবলের প্রতি এবং নিজের ক্লাবের প্রতি।

Chant / চ্যান্ট


সমর্থকেরা গ্যালারিতে যেই গানগুলো করে সেগুলোকেই চ্যান্ট বলা হয়। চ্যান্ট গুলো emotional / humorous / anthem / war-cry টাইপের হতে পারে। আল্ট্রাসদের উদ্দেশ্য ৯০ মিনিট দলের জন্য গলা ফাটানো, খেলার ফলাফল যাই হোক না কেন। চ্যান্ট-এর মেলোডিগুলো সাধারণত লোকাল বা পপুলার কোনো গানের থেকে নেওয়া হয়।

Viking clap by East Bengal Ultras

Viking Clap / ভাইকিং ক্ল্যাপ


The Viking Thunder Clap is a football chant performed with a loud shout and a clap.

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বহু ক্লাবের ফ্যানসরা এই সেলিব্রেশন করে থাকেন। EURO 2016 চলাকালীন আইসল্যান্ড ফ্যানসদের করা এই সেলিব্রেশন বিখ্যাত হয়। তবে এর উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

Poznan / পোজনান


Poznan হলো একধরণের সেলিব্রেশন যেখানে সমর্থকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠের দিকে পিছন করে একইসাথে একই জায়গায় লাফাতে থাকেন। পোল্যান্ডের ক্লাব লেখ পোজনান এর ফ্যানসরাই সর্বপ্রথম এরকম সেলিব্রেশন করে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। এই সেলেব্রেশনের উদ্দেশ্য হলো অপোনেন্টদের মোক করা / নিজের ক্লাবের ম্যানেজমেন্টের প্রতি অসন্তুষ্টি দেখানো।

Pyro / পাইরো

No Pyro No Party - হ্যাঁ,Corteo তে হোক, বা Curva তে, ম্যাচের আগে হোক বা ম্যাচের পরে, Pyro জ্বালাবার মজাই আলাদা!! কিন্তু এই পাইরো জিনিস টা কি? আসুন জেনে নি..
Pyrotechnics and flares are commonly used by supporters in football stadiums, often by groups colloquially known as “Ultras”. Pyrotechnics - The name comes from the Greek words pyr ("fire") and tekhnikos ("made by art").
অর্থাৎ, পাইরো হলো Flares, Smoke Bombs ইত্যাদি ব্যবহার করে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করা একধরণের আর্ট।

Smoke show by East Bengal Ultras at Saltlake Stadium
Pyro show by East Bengal Ultras at East Bengal Ground

Curva / কুরভা


ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে সাধারণতঃ গোলপোস্টের পেছনের অঞ্চলকে "কুরভা" বলে। "কুরভা নর্ড" মানে যেই অঞ্চলটা উত্তর দিকে, এবং "কুরভা সুড" মানে যেই অঞ্চলটা দক্ষিণ দিকে।  উদাহরণ - মিলান ডার্বি অনুষ্ঠিত হয় সান সিরো স্টেডিয়ামে। সেখানে "কুরভা নর্ড" হলো ইন্টার মিলান আল্ট্রাসদের অঞ্চল আর "কুরভা সুড" হলো এ সি মিলান আল্ট্রাসদের অঞ্চল। সেই তুলনায় যুবভারতীতে গোলের পেছনের অঞ্চল রোটেট হয় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের মধ্যে। তাই কারো কোনো নির্দিষ্ট কুরভা থাকে না। তবে অন্যান্য স্টেডিয়াম যেমন বারাসাত, কল্যাণী বা ক্লাব গ্রাউন্ডে East Bengal Ultras গোলের পিছনেই বসে।

Curva Crew / কুরভা ক্রু


Curva Crew  হলো তারাই যারা ম্যাচ-ডে তে Curva কে ম্যানেজ করে। আল্ট্রাস সেক্টর এর সবার টিকিট থেকে শুরু করে জিনিসপত্র  (যেমন drums, flags, banners, etc) থাকে এদের দায়িত্বেই।  কোনোরকম এক্টিভিটি থাকলে (যেমন Tifo  বা Pyro Show), সেটা সফল ভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্ব থাকে তাদের উপরেই।

Capo / ক্যাপো


Capos are who may not always watch the game, but always affect it. ম্যাচডে তে Curva র কন্ট্রোল থাকে Capo'র উপরেই। Capo'র নির্দেশ মতোই চ্যান্ট ওঠে Curva তে। পুরো ৯০ মিনিট megaphone হাতে টিমকে তাতিয়ে যাওয়া, Curva কে আন্দোলিত করার মূল কারিগর তিনিই। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন ড্রামাররা।
East Bengal Ultras capo leading from the front

Drummer / ড্রামার


আল্ট্রাস কালচারে ড্রামার এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ক্যাপোকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে পুরো ৯০ মিনিট গ্যালারী বা Curva মাতিয়ে রাখার দায়িত্ব তার উপরেও বর্তায়। চ্যান্টের তালে তালে Snare / Bass ড্রামে ঘা পরে ড্রামস্টিক এর।

Away Days / অ্যাওয়ে ডেস


আল্ট্রাস কালচারে একটা খুব বিখ্যাত প্রবাদ আছে - "Away Days Are The Best Days". কথাটি ধ্রুব সত্য। একসাথে সবাই মিলে বাসে বা ট্রেনে করে নিজের প্রিয় দলের জন্যে গান করতে করতে যাওয়া, প্রতিপক্ষের শহরে গিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়া, প্রতিপক্ষের স্টেডিয়ামে ঢুকে নিজের প্রিয় দল কে বার্তা দেওয়া তোমাদের সাথে আমরাও আছি! "Ultras On Tour" হলো আরো একটি বিখ্যাত প্রবাদ। 
East Bengal Ultras on tour

Ultras Wings / আল্ট্রাস উইংস


আল্ট্রাস কালচারটাকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আল্ট্রাসদের আরো উইংস থাকে। একটা central উইং ওই region-based উইং গুলোকে ম্যানেজ করে। তাদের ফান্ডের একটা অংশ আসে সেন্ট্রাল উইং থেকে।

Ultras Ideology / আল্ট্রাস আইডিওলজি


কথায় আছে ফুটবল আর পলিটিক্স কখনো একসাথে মেলানো যায় না, কিন্তু বিশ্বজুড়ে কিছু কিছু আল্ট্রাসের রাইট উইং মেন্টালিটি আছে আবার কারো লেফট উইং। রাইট উইং - conservatives, capitalists, ultras nationalists, fascists. Eg - Zenit St Petersburg, Lazio, Beitar Jerusalem. লেফট উইং - socialists, progressives, anti-corporatism, antifa. Eg - St. Pauli, AS Livorno, Olympique de Marseille, Celtic.

Hooligans / হুলিগানস


হুলিগানদের আসল উদ্দেশ্যই হলো ফুটবল কে ঘিরে vandalism, destruction, riots করা. Hooligan firmsরা সবসময় অপোনেন্ট সমর্থকদের intimidate করে এবং physically hurt করতেও তারা দুইবার ভাবে না।
Hooligans in Kolkata Football

Casuals / ক্যাসুয়াল্স


হুলিগানসদের আরেকটা সাবকালচার হলো "Casuals". পুলিশের নজর এড়ানোর জন্য ইংল্যান্ডে ১৯৮০র দিকে কিছু কিছু হুলিগানসরা দামী designer wears (যেমন Lacoste, Stone Island) পড়তো। তারাই পরিচিত হলো ক্যাসুয়াল্স নামে। Casualsদের ওই পোশাকে terreceএ বা pubএ দেখা যেত। রাইভাল সমর্থকদের ভিড়ে মিশে যাওয়ার জন্যেও তারা এরকম কৌশল ধারণ করতো।

Football Firms / ফুটবল ফার্ম্স


ফার্ম্স সাধারণত হুলিগানসদের গ্রুপগুলোকেই বলা হয়। তারা একসাথেই ট্রাভেল করে ম্যাচের দিনে, এবং অন্য দলের হুলিগান ফার্ম্সগুলোর সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। যেমন - Inter City Firm (ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড), Bushwackers (মিলওয়াল), Head Hunters (চেলসি)।

Ultras Clothing / আল্ট্রাস ক্লোথিং


আল্ট্রাসদের ড্রেস কোড সাধারণ সমর্থকদের থেকে কিছুটা আলাদা ধরণের হয় - Hooded Jacket, Track Jacket, Jeans, Scarf, Caps, Trainers / Canvas Shoes. ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাস সর্বদা সমর্থকদের ক্লাবের জার্সি বা লাল হলুদ কোনো টিশার্ট-ই পরতে বলে। তার সাথে যুক্ত হয় আল্ট্রাস রিলেটেড ক্লোথিং।
East Bengal Ultras dress-code

ACAB / এ সি এ বি


অনেক সময়েই বিভিন্ন বিষয়ে আল্ট্রাসদের সাথে পুলিশদের বিবাদ হয়। সেটা মাঠে কিছু সরঞ্জাম ঢোকানো নিয়েই হোক বা দাঁড়িয়ে খেলা দেখার জন্য বা ইত্যাদি। পুলিশদের অত্যাচারের প্রতিবাদেই আল্ট্রাসরা "All Cops Are Bas*ard" লেখা ব্যানার নিয়ে যায়। এটাকে শর্ট ফর্মে A.C.A.B. বা 1.3.1.2. বলা হয়।

No Face No Name / নো ফেস নো নেম


সাধারণত আল্ট্রাস / হুলিগানসরা পুলিশদের থেকে নিজেদের আইডেন্টিটি লোকানোর জন্য মাস্ক / balaclava পরে যায়। মাস্ক পরার আরো একটি কারণ হলো আল্ট্রাসরা নিজেদের individual আইডেন্টিটির থেকেও নিজেদের সাপোর্ট গ্রুপের আইডেন্টিটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়। এখানে ব্যক্তির থেকে বেশি গোটা ইউনিট প্রাধান্য পায়। আল্ট্রাসে নিজেস্স্বতার কোনো জায়গা নেই, সব কিছু দলের জন্যই!

Hooligan Movies / হুলিগান মুভিস


Green Street Hooligans, I.D., The Football Factory, Cass, Awaydays, etc.

Casuals in Green Street Hooligans
(C) East Bengal Ultras
By Hrisav Bhowmick and Arnab Datta.